শিশু খাদ্যে ক্রমেই বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। বিরামপুরের বাজারে ভেজাল শিশু খাদ্যে সয়লাব। প্রতিদিনই বিরামপুরের বাজারে বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢুকে পড়ছে শিশুদের জন্য নি¤œমান ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা পাপড়,জুস,চকলেট,চিপস,আচারসহ মুখরোচক সব খাবার। এগুলো খাবার বেশির ভাগ আসছে সৈয়দপুর (নীলফামারী) এবং বগুড়া থেকে। এসব খাবারের সাথে আকর্ষণীয় খেলনা থাকায় শিশুরা এসব খাবার ক্রয় করার আগ্রহ বেশি দেখায়।
এসব ভেজাল শিশুখাদ্যের কারণে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে। যা শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে এ-সংক্রান্ত আইন থাকলেও বাজারে নিয়ম কিংবা আইনের তোয়াক্কা না করেই এসব শিশু খাদ্য বাজারজাত করা হচ্ছে। তদারকির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা এটা করছে, যার খেসারত দিতে হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের।
তাই নিরাপদ শিশু খাদ্য নিশ্চিত করতে বাজার মনিটরিংয়ে সরকারকে আরো কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রাপ্ত সূত্র মতে, দেশের বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলা গুলোতে অধিকাংশই শিশুখাদ্যে কোনো না কোনোভাবে ভেজাল মেশানো হচ্ছে। বিশেষ করে তরল ও মুখরোচক খাদ্যে উচ্চমাত্রায় ভেজাল মেশানো হচ্ছে। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফার লোভে এ কাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায় গত এক সপ্তাহ আগেও বিরামপুরের পুরাতন বাজারে এক শিশু খাদ্য ব্যবসায়ী ফেরি করে মুদির দোকানে পাইকারি বিক্রির জন্য ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন । সে কোথায় থেকে এসেছে জিজ্ঞেস করলে বলে তার বাড়ি বগুড়া শহরে । সে প্রায় প্রায় এসব শিশু খাদ্য বিক্রির জন্য বিভিন্ন এলাকায় যায়।
ভেজাল শিশু খাদ্য সম্পর্কে শিশু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের সহকারী আধ্যাপক ডাঃ শেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, যদি শিশু খাদ্যে আতিরিক্ত মাত্রায় রং এবং লবন এর ব্যবহার হয় সেক্ষেত্রে শিশুদের নানান ধরনের অসুখ যেমন পেটে জ্বালাপোড়া,খাবারের রুচি কমে যাওয়ার মত সমস্যা হতে পারে। শিশুদের অভিভাবকের প্রতি আমার পরামর্শ হইলো আপনারা আপনাদের শিশুদের বাহিরের এসব মুখরোচক খাবার থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করবেন। শিশুদের জন্য বাসাতেই বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবার তৈরি করে খাওয়াবেন এতে করে শিশুরা বাহিরের খাবারের প্রতি আর আকৃষ্ট হবে না ।