ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময় অভিযানে কাউকে ইলিশ ধরা, মজুত কিংবা কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে তাৎক্ষণিক কারাদ- দেন অথবা জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেন। এ সময়ে জব্দ করা ইলিশ স্থানীয় মাদ্রাসা, এতিমখানা, বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র ও বৃদ্ধাশ্রমে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এছাড়া, কখনও কখনও জব্দ করা মাছে কেরোসিন ঢেলে খাওয়ার ‘অযোগ্য’ করে মাটিতে পুঁতে ফেলারও রেওয়াজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা । কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্মীপুরে গঠছে এর ভিন্নতা। জেলার মেঘনা নদীতে জব্দ হওয়া ইলিশ মৎস্য কর্মকতা ও সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে গায়েব হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া আটককৃতদের মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ জেলার সচেতন মহল।
অভিযোগ রয়েছে, গত ৩ এপ্রিল শনিবার লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বাসাবাড়ি নামক স্থান থেকে এক ট্রাক (২২ কাটুন) জাটকা ইলিশ জব্দ করে জেলা মৎস্য অফিস। এসময় ট্রাক ও চালককে আটক করা হয়। জব্দকৃত মাছ তাৎক্ষণিক এতিমখানায় কিছু মাছ দিলেও পরবর্তীতে মাছগুলো নিজেরা ভাগভাটোয়ারা করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মৎস্য অফিসের বিরুদ্ধে। এছাড়া আটক চালককে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তবে ৩ দিন পার হলেও এখনো পর্যন্ত আটক ট্রাকটি ( ঢাকা মেট্রো-ড ১৪-৭৮৭৪) মৎস্য অফিসার মোঃ বিল্লাল হোসেনের হেফাজতে রয়েছে। তবে তা ছেড়ে দেওয়ার জন্যও চলছে দরকশাকশি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মা ইলিশ রক্ষায় যখন নদীতে মাছ ধরার ক্ষেত্রে সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকে, তখন সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও জেলা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের অন্ধকারে কিছু অসাধু জেলে নদীতে ইলিশ মাছ ধরে। এসব মাছ সূর্যোদয়ের আগে আগে তারা গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রি করেন। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব মাছ ধরা হয় বলে মোটামুটি কম মূল্যেই বিক্রি করে চলে যান জেলেরা।
এ বিষয়ে জানতে লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য অফিসার মোঃ বিল্লাল হোসেনকে দুই দিন অফিসে গিয়েও পাওয়া যায়নি। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জব্দকৃত মাছ সকল এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে। আটক চালককে রায়পুর ইউএনও’র সাথে যোগাযোগ করে ছেড়ে দিয়েছি। আটককৃত ট্রাক পরে সিজারলিস্ট করা হবে।