যশোরের মণিরামপুরে আটটি দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। বুধবার (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার সাড়াপোল বাজারে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে মণিরামপুর ও সদর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দেড়ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে দোকানগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রাতেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো হলো, বাজারের আবু শাহীনের খাবার হোটেল, জয়নাল আবেদীনের ডেকরেটর ও ফার্নিচারের দোকান, সবুজ হোসেনের মুদি দোকান, সোহাগ হোসেনের ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান, রবিউল ইসলামের কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার, আফসার আলী ও বজলুর গাজীর চা দোকান এবং আইয়ুর আলীর সেলুন ঘর।
শাহিনের খাবার হোটেলের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানান ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। এতে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিয়ার রহমান বলেন, রাতে হোটেলের চুলার উপর কাঁচা কাঠ দিয়ে বাড়ি চলে যান শাহিন। পরে চুলার সেই কাঠে আগুন লাগে হোটেল ধরে যায়। একে একে পাশের সাতটি দোকানে আগুন লাগে। বাজারের নৈশ প্রহরীরা আগুন দেখতে পেয়ে হোটেলের দরজা ভেঙে ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা আল-আমিন ও উজ্জ্বল হোসেন নামে দুই যুবককে উদ্ধার করেন। আল আমিন ও উজ্জ্বল ওই হোটেলে কাজ করেন। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, খবর পেয়ে আমাদের টিম ভোর চারটার দিকে ঘটনাস্থলে পোঁছায়। তার আগে আমাদের যশোরের টিম ঘটনাস্থলে আসেন। দুই দল দেড়ঘন্টা চেষ্টা করে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
‘হোটেলের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ৩৫ লাখ টাকা’, বলেন হুমায়ুন কবির।
মণিরামপুর থানার এসআই হাসান বলেন, আগুন লেগে সাড়াপোল বাজারের আট দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রাতেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলোর তালিকা ও ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।