জামালপুরের বকশীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পুরো আমেজ চলছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা না হলেও সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখনই মাঠে নেমেছেন ভোটারদের মন জয় করতে। যে যার মত মাঠে থেকে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন।
আগামি মার্চ থেকে বকশীগঞ্জ উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছেন। একারণে আগে ভাগেই মাঠে নেমেছেন প্রায় অর্ধশতাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী।
গত নির্বাচনের মত আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু।
আগামি নির্বাচনকে সামনে রেখে পুরোদমে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন মাহমুদুল আলম বাবু। গত ইউনিয়ন পরিষদ নিবাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল পরিমান ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি চেয়ারম্যান হয়েই এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং সিংহভাগ রাস্তা ঘাট পাকা করণ, মেরামত, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কার্যক্রমের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠির পাশে দাড়ানো, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা নিশ্চিত করেন। এছাড়াও প্রতি বছরের ভয়াবহ বন্যায় সরকারি ভাবে ছাড়াও নিজ অর্থে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো , শীত মওসুমে শীতবস্ত্র বিতরণ, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসবে তাদের পাশে থাকা সহ সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন।
বিশেষ করে মাহমুদুল আলম বাবু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েই দলকে সুগংঠিত করা সহ দলের প্রতিটি কর্মসূচি বাস্তবায়নে মাঠে ছিলেন। একই সাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করা সহ তৃনমূল নেতাকর্মীদের মূল্যায়িত করেন।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে তিনি আবারো নৌকা প্রতীক দাবি করেছেন। দলের মনোনয়ন পেলে তিনি জনগণের ভোটে আবারও চেয়ারম্যান হবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মাহমুদুল আলম বাবু।
ইতোমধ্যে তিনি প্রতিটি ওয়ার্ডে গণসংযোগ, সভা , উঠান বৈঠক করে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড মানুষের কাছে তুলে ধরছেন এবং আগামিতেও তার প্রতি সমর্থন রাখার অনুরোধ করে যাচ্ছেন।
সাধুরপাড়া ইউনিয়নে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আবারো তাকে নৌকা প্রতীক দেওয়ার দাবি রাখেন।
সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু জানান, গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়ে এলাকার সিংহভাগ রাস্তা ঘাট পাকা, সিসি ঢালাই সহ সরকারি সেবা সমূহ মানুষের দোড়গোড়ায় পৌছে দিয়েছি। পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামী লীগের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছি। আমার ইউনিয়নর মানুষের চাহিদার ভিত্তিতে উন্নয়ন কর্মকান্ড ও কার্যক্রম বিবেচনা করে আশা করি আমাকে আবারো দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে।