সুনামগঞ্জে রক্তাক্ত অবস্থায় এক ফার্ণিসার কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনার পর পালিয়েগেছে সহযোগী কর্মচারী। মৃত কর্মচারীর নাম- ইমন আহমদ (১৪)। সে জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের মাসুক মিয়ার ছেলে। আজ বুধবার (২৪শে মার্চ) বিকেলে পুলিশ একটি বন্ধ থাকা ফার্ণিসারের কারখানার ভিতর থেকে কর্মচারী রাসেলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার মুক্তাখাই গ্রামের আজাদ মিয়ার ফার্ণিসারের কারখানার কর্মচারী হিসেবে চাকুরী করতো শিশু রাসেল আহমদ। একারণে রাতে ওই কারখানাতেই থাকতে হতো। তার সাথে থাকতো আরো একজন সহযোগী কর্মচারী। প্রতিদিনের মতে গত মঙ্গলবার রাতে কারাখানায় ঘুমিয়ে পড়ে কর্মচারী রাসেল ও তার সহযোগী। আজ বুধবার সকাল ১১টা পর্যন্ত ওই কারখানা বন্ধ দেখে মালিক আজাদ মিয়া অনেকক্ষন ডাকাডাকি করে। কিন্তু কারো কোনা সাড়া না পেয়ে কারখানার দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে এবং খাটের বিচানার মাঝে মোড়ানো অবস্থায় শিশু রাসেল আহমদের রক্তাক্ত মৃত দেখ দেখতে পায় মালিক আজাদ মিয়া। পরে থানায় খবর দিয়ে পুলিশ এসে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন- শিশু রাসেলের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু রাসেলের সাথে থাকা এক কর্মচারী এঘটনার পর পালিয়ে গেছে। এঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।