গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম গ্রামের মৃত নবাব আলীর ছেলে আইবুল খন্দকারের বসতবাড়িতে চাঁদাদাবীতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও মারপিট করার অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার এমন অভিযোগ এনে ক্ষয়ক্ষতির বর্ণনা দিয়ে সুন্দরগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন আইবুল খন্দকার। এসময় তার বড় ভাই রেজাউল ইসলামের শ্যালক মঞ্জু মিয়া উপস্থিত ছিলেন। আইবুল খন্দকার লিখিত বক্তব্য পাঠকালে অভিযোগ করেন গত ২১ নভেম্বর গভীর রাতে তার ভাতিজা আলহাজ্ব রুহুল হান্নান খন্দকার ওরফে রুজা তার দলবল নিয়ে আচমকা বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও মারপিট করে। এরপর তার বড় ভাই রেজাউল ইসলামের বাড়িতেও একই তাল্ডব চালায় সন্ত্রাসীরা। পরদিন পর্যন্ত আইবুল ও রেজাউলের ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, বিছানা ও আসবাবপত্রসহ সাড়ে ৫ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট ও ভাংচুর করে। এসময় রেজাউলের ঘরে থাকা তার শ্যালক মঞ্জু মিয়াকে তুলে নিয়ে গিয়ে হাত পা বেধে অকথ্য নির্যাতন করে।
এ ঘটনায় আহত মঞ্জু মিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও রমেক হাসপাতালে দীর্ঘ চিকিৎসাতেও তিনি শঙ্কমুক্ত নন। রুজাকে চিহ্নিত চাঁদাবাজ, পর নারী ও সম্পত্তি লোভী উল্লেখ করে আইবুল খন্দকার বলেন ২ লাখ টাকা চাঁদাদাবী করলে তা রুজাকে না দেয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়িতে প্রতিনিয়তই হামলা চালিয়ে আসছে। সে একই শ্রেণীর লোকজন নিয়ে দল গঠন পূর্বক পরিবারের লোকজনকে হত্যার পরিকল্পনা চালায়। টের পেয়ে আইবুল ও রেজাউল খন্দকার তখন থেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ সুযোগে ঘরবাড়ি ও বিষয় সম্পত্তি জবর দখল অত:পর একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রাণি করছে। এ ঘটনায় তিনি রুজা বাহিনীর হাত থেকে পরিত্রাণসহ বিষয় সম্পত্তি ও জানমালের নিরাপত্তার দাবী জানান।