ক্ষমা মহত্বের লক্ষণ। পরম করুণাময় আল্লাহ ক্ষমাকে অত্যন্ত পছন্দ করেন। প্রতি মুহুর্তে আমরা কতো অপরাধ করে যাচ্ছি। শাস্তি দিলে বাঁচার কোনো উপায় নেই। অত্যন্ত অনুকম্পা, অনুগ্রহ, দয়া দিয়ে তিনি আমাদেরকে মাফ করে দিচ্ছেন।
মানুষ হিসেবে ভূল-ত্রুটি হওয়া স্বাভাবিক। স্বল্পসময়ের এ দুনিয়ায় আমার আচার-আচরণে, চাল-চলনে, কথা-বার্তায় কেউ কোন দিন মনে কষ্ট পেয়ে থাকলে হাতজোড় করে মাফ চেয়ে নিচ্ছি। হাশরের ময়দানে আমাকে আসামী, অপরাধী হিসেবে দাঁড় করালে আল্লাহর আযাব, শাস্তি থেকে বাঁচার কোনো উপায় থাকবে না। আর যারা টাকা-পঁয়সা নিয়েও আমার ন্যায্য কাজ করে দেয়নি, বিভিন্ন ভাবে বরং ক্ষতিগ্রস্থ করেছে আমি তাদেরকেও ক্ষমা করে দিলাম আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, অধিকতর পুন্যের প্রত্যাশায়।
সর্বশেষ তমল নামে এক বর্ণচোরা, প্রতারক আমাকে ঠকিয়েছেন। আমি তাকেও মাফ করে দিলাম। হে আল্লাহ হাশরের ময়দানে তুমি যদি হিসাব গ্রহণ করো তাহলে প্রতিটি মানুষের কপালে নিশ্চিত দোযখ। তাই কাকুতি-মিনতি সহকারে তোমার দরবারে প্রার্থনা করছি বিনা হিসেবে আমাদের সবাইকে তুমি জান্নাতবাসী করিও।
-মোহাম্মদ আবদুল্যাহ, ভাইস চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টি (জেপি), কেন্দ্রীয় কমিটি,
প্রকাশক ও সম্পাদক, দৈনিক মানব কল্যাণ